স্টাফ রিপোর্টার :পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় উপজেলার হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়নের গুলিসাখালী গ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মো. জনি তালুকদার হত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
নিহত জনির চাচা হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. স্বপন তালুকদার বাদি হয়ে সোমবার রাতে উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস, ইউপি চেয়রম্যন রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার ও নাছির উদ্দিন হাওলাদারসহ ৩৫জনকে নামিয় এবং অজ্ঞাত নামা আরও ২০/৩০জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। এছাড়া এ মামলায় আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাধিক নেতা কর্মীদের আসামী করা হয়েছে।
উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস বলেন আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারনায় বাধাগ্রস্থ ও রাজনৈতিকভাবে হয়রানী করার জন্য আমাকে ও আমাদের নেতাকর্মীদের এ মামলায় আসামী করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. শওকত আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান এ মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ ও ২০-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এজাহার নামিয় আসামী জাহাঙ্গীর তালুকদার ও সন্দেহভাজন হানিফ হাওলাদার নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রিটানিং অফিসার ও পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান,মঠবাড়িয়ায় আইন শৃখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ৫প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত জনির চাচা স্বপন তালুকদার বলেন, গত শনিবার রাতে নৌকা মার্কার প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু ও ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনোসহ ২০ নেতা কর্মীকে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনার থানায় মামলা হলে জনি ওই মামলার এজাহার নামিয় আসামী। তারই জের ধরেই নৌকা সমর্থকরা সোমবার সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন এর কর্মী জনিকে কুপিয়ে হত্যা করে। জনি হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবকলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন। তাকে সোমবার সকালে একটি মাঠের মধ্যে একা পেয়ে একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে যায়।
চিকিৎসার জন্য বরিশাল নেয়ার পথে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত জনি তালুকদার ওই গ্রামের মৃত হাতেম আলী তালুকদারের ছেলে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল স্বাধীনতা দিবসের বন্ধ থাকায় লাশের ময়নাতদন্ত না হওয়ায় নিহত জনির লাশ দাফনের কথা থাকলেও দাফন সম্ভব হয়নি।