স্টাফ রিপোর্টার : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৮ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৪) চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সুমন দফাদার নামে এক সন্তানের জনককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে গ্রেফতারের পর সোমবার দুপুরে সুমনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সুমন বেতমোর গ্রামের ইউনুস দফাদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, শহরের একটি মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে মাদ্রাসার যাওয়া আসার পথে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক সুমন দফাদার প্রায়ই বিরক্ত ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঘটনার দিন গত ২০ সেপ্টেম্বর সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে সুমন দফাদার তার সহযোগীদের নিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে মোটরসাইকেল যোগে অজ্ঞাত ঘরে নিয়ে যায়। পরে সেখানে মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। মাদ্রাসা ছাত্রী উক্ত প্রস্তাবে রাজী না হলে কোমল পানীয়ের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ সেবন করিয়ে সুমন তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরের দিন দুপুরে সুমন মাদ্রাসা ছাত্রীকে শহরের বাসার সামনে ফেলে পালিয়ে যায়। এঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম ছরোয়ার বলেন, মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সুমনকে সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।