ইসরাত জাহান মমতাজ : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মাঠ দিবস উপলক্ষে চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ব্রি-ধান-৫২ কাটা শুরু হয়েছে। উপজেলার তুষখালী ব্লকের কৃষি মাঠে পিরোজপুর এর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন তালুকদার এ ধান কাটা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
শেষে তুষখালী কলেজ মিলনায়তনে কলেজ অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শওকত হোসেন, শিক্ষক বশীর আহম্মেদ, প্রভাষক লোকমান হোসেন, কৃষক ফজলুর রহমান ঘরামী, হেমায়েত হোসেন খাঁ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার কর্মকার প্রমুখ।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মঠবাড়িয়া উপজেলায় এবার খরিপ-২ আমন মৌসুমে ২০ হাজার ৩৫৪ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৫হাজার ৪০০ হেক্টর উফশী আমন আবাদ করা হয়। বৈরী আবহাওয়া অনুকুলে না থাকা ও পোকা মাকড়ের আক্রমনের পরেও নিবিঢ় পরিচর্চার কারণে এবছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। উফশী আমন ৫দশমিক ৫ টরেনরও অধিক ফলনের সম্ভাবনা। ব্রি-ধান-২ একটি ্উচ্চফলনশীল ধান যা বন্যা প্রবণ এলাকায় আবাদযোগ্য। সাত থেকে ১০ দিনের জলাবদ্ধতা সহনশীল এ ধান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, স্বল্প আলোক সংবেদনশীল ব্রি-ধান-৫২ জলমগ্ন থাকার পরে প্রচলিত স্বর্ণা ও বিআর-১১ ধানের থেকে অধিক ফলন পাওয়া যায়। এজন্য দুর্যোগ প্রবণ উপকূলে এটি উপযোগি জাত। আষাঢ়ের মাঝামাঝি বীজতলা বপন করে ২৫/৩০দিনের চারা রোপন করলে আশানুরুপ ফলন পাওয়া যায়। এ ধানের চাল মাঝারি মোটা হওয়ায় উপকূলীয় মঠবাড়িয়ার কৃষকের কাছে ব্রি-ধান-৫২ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।