স্টাফ রিপোর্টার : মঠবাড়িয়ার জেডিসি পরীক্ষার্থী মারুফা ৬টি পরীক্ষা দিয়ে বাল্য বিয়ের শিকার হয়ে ৩টি পরীক্ষা না দিতে পারলেও প্রশাসনের সহযোগিতায় সোমবার ইংরেজী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে বড়মাছুয়া দাখিল মাদ্রাসার জেডিসি পরীক্ষার্থী ও প্রতিবেশী দিনমজুর রুহুল আমিন মৃধার ঘরে গভীর রাতে ঢুকে মারুফা আক্তারকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ সময় থানায় খবর দিলে পুলিশ বখাটে রাসেল ও শিক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ ছেলে-মেয়েকে ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিনের জিম্মায় দিলে চেয়ারম্যান শিক্ষার্থীর পিতা-মাতার অমতেই মসজিদের ইমাম ডেকে বিয়ে পড়িয়ে স্বামীর বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। এ ব্যপারে জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম শেখ এর নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.এম. সরফরাজ শনিবার স্বামীর বাড়ী থেকে মারুফাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসাকে ওই শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেয়ার নির্দেশ দেন। পৌর শহরের ওহাবিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ভেন্যু কেন্দ্রে ওইপরীক্ষার্থী সোমাবর ইংরেজী পরীক্ষায় পুন:রায় অংশগ্রহণ করে।
কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মাও. বেলায়েত হোসেন জানান, মারুফা প্রসাশনের সহায়তায় আবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। তিনি আরও জানান, শিক্ষামন্ত্রীর ও প্রসাশনের সহায়তায় অনুপস্থিত বাকী ৩টি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারলে শিক্ষার্থীর নতুন জীবন ফিরে পেতে পারে।
নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম সরফরাজ পরীক্ষা চলাকালিন সময় কেন্দ্র পরিদর্শনকালে ওই শিক্ষার্থীর খোজখবর নেয়। তিনি আরও জানান, বাল্য বিয়ের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।