স্টাফ রিপোর্টার : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পুলিশের সহযোগিতায় বসতবাড়ি দখলের আভিযোগ উঠেছে নাজমা বেগম নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। ওই সম্পত্তি দখলমুক্ত করার দাবিতে জমির ক্রয় সূত্রে মালিক জাহাঙ্গীর হেসেন শনিবার দুপুরে নিজ বসত ঘরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সে মঠবাড়িয়া পৌরশহরের ৮নং ওয়ার্ড বকসির ঘটিচোরা গ্রামের মৃত চাঁন মিয়া চৌকিদারের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর হেসেন জানান, একই এলাকার মৃত. জামাল হোসেন বাদশার ওয়ারিশ স্ত্রী নাজমা বেগম, পুত্র সবুজ, কন্যা তানিয়া ও সোনিয়ার নিকট থেকে বকসির ঘটিচোরা জে.এল. নং- ২১, এস এ খতিয়ান- ১১৪১, ৮৪৯, ৮৫১, ৮৫৩, ৮৫৪, ৮৫৫, ৫২৯, ৫২৮। (ভোগ দখলীয় দাগ ১৯২৬) বসত ঘরসহ ১৫.৭৫ শতাংশ জমি সাফ কবলা দলিল মূলে ক্রয় করে র্দীঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। বিগত ৪/১০/১৮ তারিখ তার মেয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে পুরাতন বাড়িতে যাওয়ার সুযোগে নাজমা বেগম, সবুজ, তানিয়া ও সোনিয়াসহ ১৫/২০ জনের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা তারজমি ও বসত ঘর দখল করে। এ ঘঁনায় পরের দিন আমি মঠবাড়িয়া থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে লিখিতঅভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত কারীকর্মকর্তা এস আই রাজীব হাসান সাথে সাথে সরেজমিনে এসে ঘরে তালা লাগিয়ে চাবি পুলিশের হেফজতে নেন। তার পরের দিন দুপুরের দিকে অতিরিক্ত পুলিশসুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) হাসান মোস্তাফা স্বপন সরেজমিনে এসে নিজ হাতে বসত ঘরের তালা খুলে অবৈধ ভাবে নাজমা বেগম কে ঘরে উঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাজমা বেগম বলেন, জমি তাকে (জাহাঙ্গীর) কে দাগ খতিয়ান অনুযায়ী বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। সে এখন অধৈ ভাবে বসত ঘর দখলের পায়তারা চালাচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশসুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) হাসান মোস্তাফা স্বপন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সরেজমিনে গেলে নাজমা বেগম বসত ঘর খোলা রেখে ভয়ে পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘরে তালা লাগিয়ে চাবি থানায় নিয়েআসে। পরে আমি পুলিশ সুপারের নির্দেশে নাজমা বেগমকে চাবি বুঝিয়ে দেই।