স্টাফ রিপোর্টার : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অবৈধ গর্ভপাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হেলেনা আক্তার (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ শুক্রবার রাতে উপজেলার টিয়ারখালী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে শনিবার সাকালে পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর দিনমজুর বাবা আ. কুদ্দুছ মুন্সী বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করলে শনিবার দুপুরে পুলিশ গ্রাম্য চিকিৎসক আলমগীর হোসেনকে (৪০) গ্রেফতার করেছে । গ্রেফতারকৃত চিকিৎসক দক্ষিন ডৌয়াতলা গ্রামের হাসেন আলী হাওলাদারের ছেলে।
মামলা সুত্রে জানাযায়, উপজেলার টিয়ারখালী গ্রামের দিন মজুর কুদ্দুস মুন্সির মেয়ে হেলেনা আক্তার প্রতিবেশী মজনু হাওলাদারের ছেলে হানিফ এর বাড়িতে ঝি এর কাজ করত। গত ২৮ শে নভেম্বর ২০১৮ রাতে কাজ শেষে ঘুমিয়ে পরলে গৃহকর্তা হানিফ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে না জানালেও এতে ধর্ষণের পর ওই কিশোরী হেলেনা গর্ভবতী হয়ে পরে। ঘটনার আড়াই মাস পর হেলেনার শারীরিক পরিবর্তনে বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষক হানিফের মা জাহানারা বেগম হেলেনার গর্ভপাত করানোর জন্য স্থানীয় মদিনা বাজারে পল্লী চিকিৎসক আলমগীরের কাছে নিয়ে ঔষধ সেবন করায়। এ ঔষধ সেবনের পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই দিন বিকেলে হেলেনাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন। বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এ বিষয় মঠবাড়িয়া থানার ওসি এম.আর. শওকত আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাদী পক্ষ ঘটনাটি আড়াল করার চেস্টা করেছিল। পরে তদন্ত করে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে আইনি সহায়তা দিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।