স্টাফ রিপোর্টার : মঠবাড়িয়ায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর উপজেলা আ‘লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র আ‘লীগের নেতা-কর্মিরা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পরেছে । দলের দ্বিধা বিভক্তির পর সম্মেলন নিয়ে আনেকের মধ্যে সংশয় দেখা গেছে। আবার কাউন্সিলর গঠন নিয়ে চাঁপা উত্তেজনাও বিরাজ করছে নেতাদের মধ্যে। আর এ সম্মেলনকে ঘিরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে ।
এদিকে পৌরসভা ও ১১ ইউনিয়নের আ‘লীগের কমিটি প্রকাশ ও মিডিয়ায় প্রচার নিয়ে সাধারণ সম্পাদককে দায়ী করে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা আ‘লীগ সভাপতি মো. রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচারিত কমিটি ভিত্তিহীন দাবী করে সম্মেলন করেন। ওই দিন বিকেলে উপজেলা আ‘লীগ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর তার বাস ভবনে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন সভাপতির বক্তব্য ভিত্তিহীন ও প্রচারিত কমিটি সঠিক বলে দাবী করে গণমাধ্যমকে অভিনন্দন জানান। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতেই পিরোজপুর জেলা আ‘লীগ জরুরী বৈঠক গণমাধ্যমের প্রচারিত কমিটি বাতিল করেন। কমিটি বাতিলের বিষয়টি সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য ও জেলা আ‘লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবর রহমান খালেক নিশ্চিত করেছেন।
সম্মেলনকে ঘিরে উপজেলা আ‘লীগ সভাপতি মো. রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস নিজেকে পুণঃরায় সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সকল ইউনিয়ন নেতা-কর্মি ও কাউন্সিলরদের সমর্থন পাবার জন্য সভা করে যাচ্ছেন।
এছাড়া উপজেলা আ‘লীগ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর নিজেকে পুণঃরায় সাধারণ সম্পাদক ও পৌর আ‘লীগ সভাপতি আফজাল হোসেনকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে প্যানেল করে সকল ইউনিয়ন নেতা-কর্মি ও কাউন্সিলরদের সমর্থন পাবার জন্য দৌড়-ঝাপ করছেন।
অপরদিকে গত জাতীয় সংসদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী (আশরাফুর রহমান গ্রæপ) সমর্থিত উপজেলা আ‘লীগ সহ-সভাপতি মো. এমাদুল হক খান সভাপতি হিসেবে ও উপজেলা আ‘লীগ সহ-সভাপতি আরিফ উল হক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্যানেল দিয়ে সকল ইউনিয়ন নেতা-কর্মি ও কাউন্সিলরদের সমর্থন পাবার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
এব্যপারে পিরোজপুর জেলা আ‘লীগের সহ-সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক একেএম সেলিম মিয়া বলেন, ক্ষতমাসীন দলের মধ্যে একাধিক প্যানেল থাকতেই পারে। তৃণমূলের নেতা কর্মিরা যাদেরকে সমর্থন দিবেন তারাই আগামী তিন বছরের জন্য উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন।