স্টাফ রিপোর্টার : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিমল মজুমদার নামের এক ড্রিস্টিবিউটর ব্যবসায়ী বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা রয়েছে। সোমবার রাত থেকে ওই ব্যবসায়ীর মুঠো ফোন বন্ধ রয়েছে। পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন মানুষের মুখে মুখে গুঞ্জন তিনি স্ত্রী, পুত্রকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। ফলে ওই ব্যাসায়ীর কাছে পাওনাদার ব্যাংক, এনজিও এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে।
জানাযায়, বহেরাতলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রেজওয়ান সুপার মার্কেটের মেসার্স সততা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বিমল মজুমদার গত তিন দিন ধরে আনুমানিক প্রায় দেড় কোটি টাকা ঋণের দায়ে আত্মগোপনে রয়েছে। প্রাণ, ফ্রেশ, কেয়াসহ বিভিন্ন ডিষ্ট্রিবিউটরের ওই দোকান গত তিন দিন ধরে বন্ধ থাকায় বিষয়টি মঙ্গলবার সবার নজরে আসে এবং সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওনাদাররা দোকানের সামনে ভীড় জমায়।
রেজওয়ান সুপার মার্কেটের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল রব জানান, তার পরিবারের ১০ লক্ষ টাকা ওই বিমলের কাছে পাওনা রয়েছে।
পৌর শহরের নুর ইসলাম এন্টারপ্রাইজের মালিক কামরুজ্জামান জানান, বিমলের কাছে আমার মালামাল বিক্রয়ের ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা পাওনা।
অপর ব্যবসায়ী কাবুল জমাদ্দার অলিম্পিক কোম্পানী ও গ্লোব সফট্ ড্রিংক্স কোম্পানীর মালামাল বাবদ তিনিও ১ লাখ টাকা পাবেন বলে দাবী করেন।
বহেরাতলার বাসিন্দা শাহ আলম ও মোস্তফা জানান বিমলের কাছে তাদের ৬ লাখ টাকা পাওনা।
মঠবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাচ্চু মিয়া আকন জানান, জামীনদার হয়ে গত এক বছর আগে ব্যবসায়ী বিমলকে এক নিকট আত্মীয়ের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা ব্যবসায় এনে দেয়। এখন বিমল আত্মগোপন করায় বড় চিন্তিত হয়ে পড়েছি।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সাফা বন্দর শাখার ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন জানান, বিমল মজুমদারকে জমির মর্টগেজ ও দোকানের মালামালের স্টক দেখে ওই শাখা থেকে ২৫ লাখ টাকা লোন দেওয়া হয়। টাকা পরিশোধ না করে ব্যবসায়ী বিমল আত্মগোপন করায় মঙ্গলবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়ের করেছি। (যার জিডি নং- ১১১২, তারিখ ২১/১১/২০১৭ ইং)।
স্থানীয়রা জানান, ব্যাংক, এনজিও ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে বিমল গত তিনু দিন ধরে লাপাত্তা।