সাদিকুর রহমান মুশফিক
তুই যখনই কাঁদতে ছিলি ছোকরা,
ঘুম ছিল না তোরই চোখে।
আমার চোখের ঘুমটি কেড়ে নিয়ে
ঘুম দিয়েছি আমি তোকে।
তুই যে কঠিন রোগে ভুগতে ছিলি ,
পাচ্ছিলিনা কভূ ক্ষমা।
খোদার কাছে কত মোনাজাতে
অশ্রু দিয়েছিলাম জমা।
সুখের আশা বুকে ঠাই দিয়ে যে
বড় করছি আমি তোকে।
কত রাত্রি কাটছে শয়ন বিহীন,
কত দিবস গেছে শোকে।
কত শত আশা ছিল আমার
কত আশা ছিল বুকে।
বুকের মাঝের সুখের আশা গুলো
ফিরে গেছে শত দুঃখে।
খাবার যখন খেতে চাসনি রে তুই
আমি দিছি খাবার তুলে।
হায়রে সোনার জাদু মনি আমার!
আজ কেন গেলি ভুলে?
তোর বাবাকে নিয়ে গেছে খোদা
আমায় ফেলে গেছে একা।
এখন কেবল আমিই আছি বাছা,
শুধু ভাগ্যের কাছে ঠেকা।
জীবন নভে আসলো বুঝি আমার
তীব্র কালো ক্রোধি মেঘ।
ঝড় উঠেছে বইছে তীব্র হাওয়া
কতইনা তার ঢের গতিবেগ।
বৃদ্ধাশ্রমের বদ্ধ ঘরে আমার
কাটে না তো একটি দিন।
কিভাবে তুই শোধন করবি আজ
আমার হাজার ব্যথার ঋণ।
সর্বক্ষণে ছিলাম রে বাছা
তোরই খোঁজে আমি ন্যস্ত।
তুই এখন জজ ব্যারিস্টার হয়ে
থাকিস সদা অতি ব্যস্ত।
তোর বিরহে কাতর হয়ে আছি
দিবানিশি কাটছে দুঃখে।
সারা বিশ্বের সকল ব্যথা বুঝি
জমা হলো আমার বুকে।
কত ইচ্ছা ছিল শেষ জীবনে
পরম সুখে কাটাবো দিন।
সেটাতো নেই যে নসিবে আমার,
বাজে এখন বিরহ বীণ।
আমায় ছেড়ে কেমন করে এখন
থাকিস রে তুই মহা সুখে?
তোকে ছেড়ে থাকতে পারছি না রে,
দিবানিশি কাটছে দুঃখে।
তোকে বড় মানুষ করার লাগি
খরচ করছি আমি কতো।
শিক্ষিত ঠিক হলি রে বাছাধন
মানুষ যে আর হলি না তো।
সাদিকুর রহমান মুশফিক : গ্রাম-মানিকখালী, পোস্ট- আমড়াগাছিয়া, উপজেলা-মঠবাড়িয়া, জেলা- পিরোজপুর